পুতিন-জেলেনস্কিকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প

ভলোদিমির জেলেনস্কি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন
ভলোদিমির জেলেনস্কি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন | ছবি: সংগৃহীত
0

যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়াকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ট্রাম্প। আলাস্কায় প্রাথমিক আলোচনা ফলপ্রসূ হলে পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে অনেকটা আশাবাদী ইউরোপীয় নেতারা। তবে পুতিনের ধোঁকাবাজি করতে পারে বলে সন্দের ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। ইউক্রেনের বাসিন্দারাও পুতিনের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগ অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্করিজ শহরে একান্তে বৈঠক করবেন ট্রাম্প-পুতিন।

এতেই দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। আগে থেকেই তিনি বারবার বলেছেন ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা মেনে নেবেন না। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন যোগাতে শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন জেলেনস্কি। ট্রাম্পকে পুতিন ধোঁকা দেবেন বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

অন্যদিকে ইউরোপ বলে আসছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা ঐক্যবদ্ধ। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইউরোপীয় নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ নিশ্চয়তা চায় তারা। তাদের দাবি, কিয়েভকে বাদ দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি হতে পারে না। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে উপস্থিত ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালির সরকার প্রধানসহ ন্যাটো মহাসচিব এবং ইইউর প্রেসিডেন্ট।

এদিকে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা দিলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে। যদিও মস্কোর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে আলাস্কায় প্রাথমিক আলোচনা ভালো হলে পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প।

ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠক নিয়ে অনেকটা সংশয়ের মধ্যে আছেন আলাস্কায় বসবাসরত ইউক্রেনীয়রা। পুতিনের আচরণের ওপর একবিন্দু ভরসা নেই তাদের। ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগ কতটা সফলতার মুখ দেখবে সে বিষয়ে সন্দিহান তারা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দেয়ার ট্রাম্পের প্রস্তাব ঘিরে উদ্বিগ্ন ইউরোপীয়রা। যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই পক্ষকেই ছাড় দেয়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প।

এসএস