ইসরাইলের দুই বছরের বেশি সময়ের আগ্রাসী হামলায় ধ্বংসস্তূপে রূপ নেয়া গাজায়, শাসকদল হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করে উপত্যকা দেখভালে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি পুনর্গঠন ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী দায়িত্বের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের দিকে তাকিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরাইলবিরোধী জনতাকে রাগিয়ে দিতে চায় না মুসলিম দেশগুলো।
এমন পরিস্থিতিতেই ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইস্যুতে হঠাৎ আলোচনায়, বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ পাকিস্তান। গাজায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সেনা পাঠাতে ইসলামাবাদকে চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এতে কয়েক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাপ্রধান হিসেবে ক্ষমতার সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি অসীম মুনীর।
আরও পড়ুন:
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে শিগগিরই ওয়াশিংটনে যেতে পারেন ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনীর। দু’টি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে দুই নেতার তৃতীয় এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে গাজা সেনা পাঠানোর ইস্যু। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, পররাষ্ট্র বা তথ্য মন্ত্রণালয় এবং হোয়াইট হাউজ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে উভয় সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। একদিকে রয়েছে বাহিনীতে যোগ না দিলে ট্রাম্পের রোষানলে পড়ার শঙ্কা। অন্যদিকে সেনা পাঠালে অভ্যন্তরীণ জনরোষের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে অনেক বছরের অনাস্থা দূর করার কৃতিত্ব দেয়া হয় আসীম মুনীরকে। গেলো জুন মাসে কোনো বেসামরিক কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র সেনাপ্রধানকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানোর বিরল সম্মান প্রদর্শন করে হোয়াইট হাউজ।





