জরুরি অবস্থা তুলে নির্বাচনের ঘোষণা দিলো মিয়ানমারের জান্তা সরকার

মিয়ানমারে ২০২০ সালের নির্বাচন
মিয়ানমারে ২০২০ সালের নির্বাচন | ছবি: সংগৃহীত
0

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করলো মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী জানায়, আগামী ডিসেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এরইমধ্যে তারা প্রস্তুতিও শুরু করেছে। যদিও বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এ সময় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিসহ দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। এর পর থেকে কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় জরুরি অবস্থার। সবশেষ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরও ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থার সময়সীমা বাড়ানো হয়। যা শেষ হয়েছে চলতি মাসেই।

অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর চলমান জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিল মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নির্বাচনের ডাক দেয়। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এরইমধ্যে প্রস্তুতি জোরদার করছে জান্তা সরকার।

জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর জান্তা সরকার জানায়, ২০০৮ সালের সংবিধানের অধীনেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী এর আগে জরুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে জানান জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন।

এরইমধ্যে ১০ সদস্যের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জান্তা বাহিনী। যার সভাপতিত্ব করছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। এছাড়া থাকছে ৩০ সদস্যের কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে দেশটির বিরোধী দলগুলো আসন্ন নির্বাচনকে বর্জন করেছে। তাদের অভিযোগ জান্তা বাহিনী নিজেদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে প্রহসনমূলক নির্বাচনের আয়োজন করছে। মিয়ানমারে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করে বিরোধী দলগুলো।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও জান্তা সরকারের কর্মকাণ্ড ও জরুরি অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেন। তাদের মতে সামরিক শাসনের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ খুব কম। মিয়ানমারের সব পক্ষকে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া।

এসএস