গাজার শান্তি প্রক্রিয়া প্রস্তাবে হামাস আংশিক সম্মতির কথা জানানোর পর উপত্যকাটিতে হামলা বন্ধে ট্রাম্পের দেয়া নির্দেশে সাড়া দিয়েছেন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের হামলা বন্ধের আহ্বানের পর রাতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় হামলা চালালেও নেতানিয়াহুর নির্দেশের পর বড় কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও কোথাও বিস্ফোরিত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে ইসরাইল। এ অবস্থায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গাজাবাসী। আশায় বুক বেধেছেন, এ যাত্রায় হয়তো চিরতরে ইতি ঘটবে ইসরাইলি বর্বরতার।
গাজার স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘এটা খুশির খবর। এর মধ্য দিয়ে আমরা এখন বেঁচে থাকার আশা করছি। আমরা ক্লান্ত।’
অন্য একজন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের উপর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন। আমাদের আশা যুদ্ধবিরতি হলে তা সত্যি কার্যকর থাকবে। উভয় পক্ষেরই সব জিম্মি এবং বন্দীদের মুক্তি পাবে বলেও প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন:
গাজায় বসবাসকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা খুশি যে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার আভাস পাচ্ছি। আমরা ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতি এবং রক্তপাতে ক্লান্ত। প্রতিদিনের খারাপ খবরের মাঝে এটি একটি ভালো খবর।’
অন্য একজন বলেন, ‘হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে একমত হয়েছে এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। আমরা নিরাপদভাবে জীবনযাপন করতে চাই।’
ট্রাম্পের পরিকল্পনার কিছু অংশে হামাসের সম্মতির পর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিষয়ে আশাবাদী অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইসরাইল দুই বছর ধরে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী আগ্রাসন চূড়ান্তভাবে বন্ধ হওয়া।’
হামাস-ইসরাইলের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শুধু গাজায় নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এমনটাও আশা করছেন অনেকে। এমনকি শুধু স্বীকৃতিতেই সীমাবদ্ধ না থেকে অতিদ্রুত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।





