মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের শাকিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৯); ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪১) এবং একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ (৩৭)।
রায়ের সময় সেলিনা বেগম আদালতে উপস্থিত থাকলেও শোভা প্রকাশ ও সুমন পলাতক রয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ আলী কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়ার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং কলেজ ছাত্রাবাসে থাকতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে আলী ও তার বন্ধু মোরাদ কলেজগেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দুর্বৃত্তরা তাদের ছুরিকাঘাত করে।
স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে ভৈরবের মাতৃকা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোরাদকে পরে ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরদিন মোহাম্মদ আলীর বাবা ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে একই বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ. আজিজ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
