সবজিতে ঊর্ধ্বগতি; স্থির নয় চাল-মুরগির বাজার

কাঁচাবাজার
কাঁচাবাজার | ছবি: এখন টিভি
0

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে বাজারে। তবে দু’একটি সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেশিরভাগ সবজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে, স্থির নেই চালের বাজারও। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে। আর বিআর আটাশ চাল পাওয়া যাচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে ১৪৫ টাকার ব্রয়লার মুরগি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে মাছের দাম কিছুটা কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা।

বাজারে বিক্রেতাদের ঝুড়িগুলো পর্যাপ্ত সবজিতে ঠাসা, তবু দামে ছাড় নেই। উল্টো সব ধরনের সবজি, কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা। গত সপ্তাহের ৩০ টাকার পটল কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। ঢেঁড়শ, ঝিঙা, বরবটিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ায় কেজিতে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা।

ক্রেতারা জানান, দিন দিন কাঁচাবাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে সবজির দাম।

মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। তবে বাজারের থলেতে ইলিশ নেয়া যেন বিলাসিতা, এক কেজি পরিমাণে ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

ক্রেতারা জানান, ইলিশের দাম বাড়লেও অন্যান্য মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

প্রোটিনের চাহিদার আরেক উৎস ডিমের দাম নিয়েও স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে গত সপ্তাহে ১৪৫ টাকার ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। গরুর মাংস কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা আর খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা।

এদিকে ঈদুল আজহার পর থেকেই চড়া চালের বাজারে সুখবর নেই। পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও কমছে না দাম। এজন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন অনেকে।

দোকানদারদের মধ্য একজন জানান, বিপুল পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে এবার অথচ হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। এটার জন্য সিন্ডিকেট দায়ী অভিযোগ করে তিনি জানান, বড় কিছু কোম্পানি চাল কিনে স্টক করে রাখায় এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

চালের বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে তদারকি বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের।

এসএইচ