এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অতীতের শাসকরা আমাদের একটি ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দিয়ে গেছে। আপনি রাস্তায় বের হন, বাসে চাপা পড়ে মরবেন। আপনি হাসপাতালে যান, চিকিৎসার অভাবে মারা যাবেন। বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাবেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা যাবেন। বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার অবস্থা আমাদের দিয়ে যায়নি। এই রাষ্ট্রের কাছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম একটি পুনর্গঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন ইংরেজিতে অনার্স, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বাংলায় অনার্স। যারা দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ ছিল তাদের সরকারে বসিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দেয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা দেখেছি একটা ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, একটা অযোগ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কি কোনো ডাক্তার ছিল না?’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন, সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদি প্রমুখ।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় জেলা শহরের রেলগেই এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপি নেতৃবৃন্দরা। এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও পদযাত্রায় অংশ নেন এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদিসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।