আজ (বুধবার, ৩০ জুলাই) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ২২তম দিনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই শুরু হয় সংলাপ। এদিন সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, সরকারি কর্ম কমিশন, দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ ছাড়াও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ অমীমাংসিত সাতটি বিষয়ে শেষ মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যমত্যে নিয়ে আসতে চায় কমিশন।
সভার শুরুতে সংসদে সরাসরি নারী প্রতিনিধি নির্বাচনে একমত হয় দলগুলো। তবে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া আছে ভিন্নমত।
সভার বিরতিতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, আইনি ভিত্তি না থাকায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ফাঁকি রয়ে গেছে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘যদি সরকার আন্তরিক হয় এবং অন্য দলগুলো যদি সরকারের সঙ্গে কো-অপারেট করে তাহলে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যেই সরকার সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা পরিণত আইনভিত্তিসম্পন্ন এবং সাংবিধানিকতার ভিত্তিতেই একটা ঘোষণাপত্র সরকার জারি করতে পারবে।’
সনদ বাস্তবায়নে শুধু অঙ্গীকার নয়, আইনিভিত্তি দেয়ার জোর দাবি জানায় জামায়াত, এবি পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জাতীয় সনদ আমাদের এই মিটিংয়ের আউটকাম। উনারা এটা ঠিক করবেন বলে বলছেন, আমাদের কাছে একটা রাফ কাগজও পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেটা অপূর্ণাঙ্গ, কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ। যেসমস্ত বিষয়ে আমরা ঐকমত্য হয়েছি সেটাকে তারা ইনক্লুড করেনি। তারপরও আমরা এটার জবাব দেবো।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘এই জুলাই সনদকে কার্যকর করার বাস্তবতাটাও স্বাক্ষরের দিন থেকে তৈরি হতে হবে।’
আরও পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়ার উপায় আছে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী শিশির মনির। জনগণের অভিপ্রায়ই ‘সুপ্রিম ল’ বলে মন্তব্য তার।
শিশির মনির বলেন, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের চেয়ে বড় সাংবিধানিক ম্যান্ডেট আর কিছু হতে পারে না। এখন এই জনগণের অভিপ্রায়টাকে একটা সাংবিধানিক প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।’
এদিকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচিত সংসদেই ভরসা বিএনপির। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা উপেক্ষা করার সাহস কোনো রাজনৈতিক দল করবে না বলে মত দলটির।
বিএনপি স্থানীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি না হয়, সেটা সাংবিধানিকভাবে হোক, সংসদীয়ভাবে হোক, ব্যক্তি স্বৈরতান্ত্রিক হোক বা একনায়ক তান্ত্রিকতা হোক, যেকোনোভাবে হোক- সেটার উদ্ভব যেন না হয় সেজন্য আমরা কী করছি- সেটা আমাদেরই প্রস্তাব।’