রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া হস্তান্তর, থাকছে যেসব বিষয়

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা | ছবি: সংগৃহীত
1

দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ শিরোনামের চূড়ান্ত খসড়ায় রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমনসহ যেসব বিষয়ে দলগুলো সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও শক্তিসমূহ পারস্পরিক ও সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে সব দল সব বিষয়ে একমত হয়নি, কোনো কোনো দল কোনো কোনো সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

সনদের পটভূমিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিকে ধারণ করে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা অর্জন করা যায়নি।

‘রাষ্ট্রকাঠামোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকরী ও বিচারহীনতার সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।

গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকার ‘জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানের বিকৃতি সাধন, বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন, নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনকে দলীয়করণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের ব্যবস্থা কায়েম করে’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ‘জনগণের সম্মিলিত শক্তি ও প্রতিরোধের কাছে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসররা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ এবং এর পর ‘জনগণের মননে রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের এক প্রবল অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়েছে’ বলেও সনদে উল্লেখ করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে সেগুলো হলো, রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশন।

এএইচ