সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন যখন সন্ধ্যা আসে, তখনও উত্তাল শাহবাগ। ভাইহারা শোক, না কি শোক থেকে জন্ম নেয়া শক্তি, স্লোগানের সুর থেকে তা আলাদা করা যায় না।
শাহবাগে সহস্রাধিক মানুষের এ অবস্থান কর্মসূচি চলে রাতভর। দু’সপ্তাহ পেরোলেও ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের গতি নিয়ে বিক্ষুব্ধ আক্ষেপ ফুটে ওঠে ছাত্র-জনতার মাঝে।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া একজন বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত, জুলাইয়ের পর আমাদের সহযোদ্ধা ভাইকে এভাবে হত্যা করে। দীর্ঘ নয়দিন পর এখনও শহিদ ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনিদের ধরা হলো না।’
অন্য একজন বলেন, ‘শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরীব আমরা সবাই একটা শব্দই বুঝেছি ইনসাফ। আমাদের বাংলাদেশে ইনসাফ দরকার। সেটাই হাদি আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:
দাবি তোলা হয়েছে- শাহবাগে গিয়ে কোনো উপদেষ্টা হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে হবে।
মাঝরাতে এ কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্র শাখা সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতারাসহ অনেকেই। জুলাই পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে হতাশা ও ক্ষোভ-- দুটোই প্রকাশ পায় তাদের কণ্ঠে।
জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান বলেন, ‘চার ঘণ্টায় ৮০০ মামলার রায় কীভাবে হয়? এই ফয়সাল করীম কীভাবে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়? সে জবাব আসিফ নজরুলকে দিতে হবে।’
রাজপথে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান চলবে বিচারের সুনির্দিষ্ট উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত। আজ (শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর) দেশবাসীকে শাহবাগে এসে, কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।




