আজ (শুক্রবার, ৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আত্মপ্রকাশের সাত দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভায় উঠে আসে নির্বাচন, নারী নিরাপত্তা সহ বিচার ও সংস্কার ইস্যু।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোট হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।
সম্প্রতি নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাহিদ।
পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ও সমন্বয় পরিচয়ে কেউ অপকর্ম করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন নাহিদ ইসলাম।
এসময়, নির্বাচনের কথা আসলে কেন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন পেছানোর শঙ্কা জানায় এমন প্রশ্ন তোলেন মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই আগস্টের অপরাধীদের বিচারের জন্য সরকারকে চাপ দেবার কথা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই ও আগস্টের সব অংশীজনদের নিয়ে আগামী ১০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে। সারা দেশের সব অংশীজনরা তাতে অংশ নেবেন। পরদিন ১১ মার্চ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।
এছাড়া জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও নারী নিপীড়নকারীদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান দলটির নেতারা।