তিনি ফেসবুকে লেখেন, 'আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচি চলছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও নাগরিকরা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হলেও, এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।'
আরো পড়ুন:
হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, 'গত দুই দিনে এই আন্দোলনকে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে।'

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
তিনি লেখেন, 'সবার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য' ব্যানারে পালিত হবে।'
আরো পড়ুন:
এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, 'ঢাকাসহ সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানানো হচ্ছে—আসুন, আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানপন্থী সকল মত ও দল একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। জুলাই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশাআল্লাহ।'
এদিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা, আইসিটি আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি- এই তিন দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে রাতভর অবস্থানের পর মিন্টো রোডের মোড়ে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশের পর শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।