শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘নতুন সংবিধানের জন্য একটি গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। যার মাধ্যমে জনগণ তাদের জন্য একটি নতুন সংবিধান তৈরির রায় দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘তরুণরা আন্দোলন করতে আসেনি। তরুণরা দায়িত্ব নিতে এসেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি।’
এদিন সকালে মুক্তারপাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালেক্টরেট মাঠে সমাবেশে যোগ দেয়। এরপর মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানান এনসিপি নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপি সরকারের একটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি অস্ত্র হ্যান্ডেলই করতে না পারেন, তবে তা নিয়ে আসছেন কেন আপনি?’
জুলাই আন্দোলন, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার দাবি করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে আমরা পিআর পদ্ধতির কথা বলছি। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট ক্ষমতার কাঠামোতে থাকতে চায়, তারা এর বিরোধিতা করছে। তারা এ বিষয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
এর আগে, নেত্রকোণা সার্কিট হাউসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি নেতারা।