বিবৃতিতে জালালুদ্দীন বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা চান্দনা চৌরাস্তার নিকটবর্তী স্থানে সংবাদকর্মী আসাদুজ্জামান তুহিনকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু নির্মম নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে আমি নিহত সাংবাদিকের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘তুহিন সাহেব সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ব পালনকালে সমাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছিলেন। শুনেছি, হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো— এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি প্রমাণ করে, অপরাধীরা এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তারা গণমাধ্যমের কণ্ঠও রক্তাক্তভাবে স্তব্ধ করে দিতে দ্বিধা করছে না।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান শাসনব্যবস্থায় অপরাধের প্রশ্রয়, বিচারহীনতা এবং দুর্বৃত্তদের রাজত্বের কারণে দেশে সাধারণ মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। যেখানে সংবাদকর্মী হত্যার মতো ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটছে, সেখানে সাধারণ নাগরিক কতটা নিরাপদ— তা সহজেই অনুমেয়।’
তিনি মনে করেন, সমাজে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসের যে ভয়ংকর বিস্তার ঘটেছে, তা রোধ করা না গেলে এমন হত্যাকাণ্ড আরও বাড়বে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে তিনি সমাজের বিবেকবান মানুষদের নিয়ে দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।