আজ (শুক্রবার, ১৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।
হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসবো না। কখনো বলবো না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইবো অবহেলিত এ হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক। যিনি হাতিয়া দ্বীপের উন্নতি করতে পারবেন আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে না জড়ানোর জন্য উপস্থিত সবাইকে ওয়াদা করিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার কাছে ওয়াদা করেন, নিজেরা নিজেদের মধ্যে কেউ হানাহানি মারামারি করবেন না। বিএনপি-জামায়াত কিংবা এনসিপি যে যে দলই করুক আমরা যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করি, অরাজকতার সৃষ্টি করি তাহলে সারাদেশের মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে।’
হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়নের পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কোন মন্ত্রী-উপদেষ্টা কিংবা কোন কিছুতেই নেই। আমার বিশেষ কোন ক্ষমতাও নেই। আপনারা যেমন আপনাদের সুখ-দুঃখের কথা আমার কাছে শেয়ার করেন তেমনি আমিও আপনাদের সুখ দুঃখের সেসকল কথাগুলো সরকারের সাথে জড়িত যারা রয়েছে তাদেরকে জানাই। তাদেরকে অনুরোধ করে আপনাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমারে নিজের চাচা খালারাও অসংখ্য বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়েছে। নদী ভাঙনের কষ্ট আমি বুঝি। হাতিয়াতে বিনিয়োগের জন্য এ মাসের শেষের দিকে জাপান থেকে একটি টিম হাতিয়া পরিদর্শন করতে আসবে। আমরা যদি ঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ পাই আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকেও সুন্দর হবে।’
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির নোয়াখালীর সংগঠক কাজী তানভীর, ইয়াছিন আরাফাত, মেহেদী হাসান সীমান্ত, হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী সামছল তিব্রিজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।