তিনি বলেন, ‘আমাদের মূলা ধরিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেইফ এক্সিট নিতে চেয়েছেন। সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে নিজে সেফ এক্সিট নেয়ার জন্য।’
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এ জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা জুলাই যোদ্ধা সবাই একেক জন দেশদ্রোহী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিয়ে সরকার আমাদের ফাঁসিতে ঝুলাতে চায়। অনেকে আমাদের বলে আমরা নাকি জুলাইয়ের গাদ্দার! জুলাইয়ে সঙ্গে সবচেয়ে বড় গাদ্দারি করেছে বর্তমান ইন্টেরিম সরকার।’
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে সে সংবিধানকে বৈধতা দেয়া হয়েছে ১০৬ নং অনুচ্ছেদের অধীনে। কিন্তু সে ১০৬ নং অনুচ্ছেদের অধীনে তাকে কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সরকার তখন গর্তে ঢুকে গেছে সেইফ এক্সিট কিভাবে নেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে আবার ১০৬ অনুচ্ছেদে নতুন একটা বিধি যুক্ত করে হাইকোর্টের রায় এনে একটা নির্বাচন দিবে।’
এনসিপির এ নেতা আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যুত্থানের পর হয়েছে। তারা নতুন একটি সংবিধান দেবে। তারা পুরানো সংবিধানের অধীনে এখন নির্বাচন দিতে চায়। অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে সেভাবে কমিশন গঠন করে কি এবারও নির্বাচন হবে? আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চেয়েছি। সেটি নিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এসব সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।’