খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছে চিকিৎসক বোর্ড

খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া | ছবি: এখন টিভি
0

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছে চিকিৎসক বোর্ড। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে হওয়া বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমান।

একই সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় টানা তিন ঘণ্টা খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করেন জুবাইদা রহমান। আজ বিকেল ৫ টায় কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন বেগম খালেদা জিয়া।

গত ১৪ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন:

গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) নেয়া হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত কয়েকদিন থেকেই এ অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।

শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা যোগাযোগ রাখছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চীন থেকে দেশটির চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন। রাতেই তারা খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে যোগ দেন।

এর আগে দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে। তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। খালেদা জিয়াকে দেখেন।

জানা গেছে, নিয়মিত ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি সব ধরনের উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দেশের চিকিৎসক দলের সঙ্গে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দলও সহায়তা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমেরিকা, চীন,কাতার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান, ইন্ডিয়াসহ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তা করছে বলেও জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের খোঁজ নেন, কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান।

গত সোমবার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেদিন সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হলে এসএসএফ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

সেজু