‘ফুটবল’ চিরন্তন এক আবেগের নাম। খেলোয়াড়রা সেই আবেগ ধারণ করেন, আর পূর্ণতা দেন দর্শকরা। তবে দর্শকের আবেগের যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এক দল আছেন, যারা খেলাটাকে স্রেফ খেলা হিসেবে দেখেন না। তাদের আবেগের ক্যানভাস আরও বড়। ফুটবল নিয়ে আলট্রাসদের স্বপ্নও তেমনই।
ফুটবল ভালোবেসে তারা ঈদের দিনও বসে আছে ফুটবলের অভিভাবকদের দুয়ারের সামনে। সংখ্যাটা দেখে নিতান্তই কম মনে হতে পারে, যদিও এখানেও রয়েছে দলের পুরোনো সদস্যদের মাহাত্ম্য।
আলট্রাসের একজন সদস্য বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে সবার ওপর দিয়ে যে একটা প্রেশার গেছে, সবাই তাদের পরিবার থেকে দূরে। আমাদের ডাকেই এতগুলো মানুষ আজ আমাদের সাথে এসেছেন এবং আজকে আমাদের সংগঠনটা এত বড়। এই সংগঠনের প্রতি আমাদের যেমন একটা দায়বদ্ধতা আছে, এই সদস্যগুলোর প্রতিও আছে। এই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা এখানে অবস্থান করছি।’
উদ্দেশ্য একটাই, সিঙ্গাপুর ম্যাচে তারা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চায় যাতে দেশের ফুটবলে নতুন এক বার্তা পৌঁছে যায় বিশ্বব্যাপী। প্রতিপক্ষরে হুংকারে চাপে ফেলতে চাপ প্রতিপক্ষকে, করতালিতে মাতিয়ে রাখতে চায় নিজ দলকে। যদিও এখন অনেকটাই নিরুপায় তারা।
প্রথাগত আলট্রাসদের মতো নয় বাংলাদেশের এ সমর্থক-গোষ্ঠীটি। এখনো ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের আশা, শেষ পর্যন্ত হয়তো একটা সমাধান মিলবে বাফুফের পক্ষ থেকেই।
আলট্রাসের আরেক সদস্য বলেন, ‘বাফুফের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তিনি আমাদের অপেক্ষা করতে বলেছেন এবং জানিয়েছেন, আমাদের ব্যাপারটি তিনি দেখবেন। ম্যাচের ৪ দিন আগে এসে আমাদের বলা হয় যে ১০০ টিকিট দেয়া হবে। আমাদের প্রায় ৩০০০ মেম্বারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। সেখানে এই ১০০ টিকিট আসলে কোনোভাবেই যায় না।’
লম্বা সময় ধরে ফুটবল-বিমুখ প্রজন্মকে নতুন করে ফুটবলের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস। ফুটবলপ্রেমীদের আশা, দ্রুতই সমাধান মিলবে এই সমস্যার।