৩৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ার যখন পড়ন্ত বেলায় তখনো অপ্রতিরোধ্য লিওনেল মেসি। মাঠ কাঁপিয়ে তরুণ যুবকের মতো ছুটে গোল করে ইতিহাস গড়া থেমে নেই সর্বকালের অন্যতম সেরা এ খেলোয়াড়ের।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিয়েছে ইন্টার মায়ামি। তবে এমএলএসে দলটির অসাধারণ পারফরম্যান্সে বুঁদ হয়ে আছে বিশ্বের ফুটবল সমর্থকরা। সেই দাপুটে ফুটবলের মূল কারিগরও কিন্তু লিওনেল মেসি-ই।
নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনের বিপক্ষে প্রথমার্ধে মেসির জোড়া গোলের উল্লাস। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ড একবার মেসিদের প্রতিরোধ ভেঙে গোলপোস্টের জাল কাঁপায়।
তবে তাতেও রক্ষা পায়নি হার থেকে। বরং মেসির এ জোড়া গোলে আসরে টানা চার জয়ের পাশাপাশি অনন্য এক রেকর্ড গড়ার উল্লাসে মাতে ইন্টার মায়ামির খেলোয়াড়-সমর্থকরা। তবে এ রেকর্ড ক্লাবের নয় দলের প্রাণভোমরা এলএম-১০ এর।
এ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি টানা পাঁচ ম্যাচে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গ ভেঙে প্রতি ম্যাচেই করেছেন গোল। এর মধ্যে টানা ৪ ম্যাচে দু’টি করে গোল করে গড়েন অনন্য এক ইতিহাস।
এমএলএসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে জোড়া গোল করলেন কোনো ফুটবলার। মেসির এ ৮ গোলের ইতিহাস গড়ার উৎসব শুরু হয়েছিল মে মাসের শেষ দিকে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় দিয়ে।
এরপর ধারাবাহিকভাবে কলম্বাসের বিপক্ষে ৫-১ গোল, চলতি মাসে মন্ট্রিয়ালের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও জোড়া গোল করেন মেসি। আর সবশেষ নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এলো তার জোড়া গোল।
বরাবরের মতোই কেবল গোল উৎসবে মেতেই থেমে থাকছেন না জাদুকর। বরং সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোও অব্যাহত রেখেছেন। জোড়া গোল করা ৪ ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেছেন আরও ৪ গোলে।
কদিন আগেই ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে গড়েছিলেন সাড়ে বারোশো গোলে অবদান রাখার রেকর্ড। ক্যারিয়ারের গোধুলীলগ্নেও যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে কোথায় গিয়ে থামবেন এ জাদুকর— সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।