এক সময় হকি ছিল গৌরবের নাম। কিন্তু এবার যুব বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর স্বপ্নে নতুন কোচ অন্তর্ভুক্তির সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে হকি ফেডারেশন।
ডাচ কোচের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আছে বিশ্ব হকির বড় বড় নাম। জাপানকে এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন করেছেন, পাকিস্তানে ছিলেন প্রধান কোচ, কাজ করেছেন ইউরোপ-আফ্রিকা মিলিয়ে সাতটির বেশি জাতীয় দলে। বাংলাদেশে আসার আগে যুব হকি দলকে নিয়ে করেছেন হোমওয়ার্ক।
কোচ সেগফ্রেড অ্যাইকম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে গোল খেয়ে বসে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তারা শেষ দুই কোয়ার্টারে হতাশ হয়ে ফাউল করে বসে। তাই আমাদের প্রথমেই ডিসিপ্লিনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
প্রথমবারের মতো যুবাদের বিশ্বমঞ্চে উড়বে বাংলাদেশের পতাকা। সীমিত সামর্থ্য নিয়েই বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন কোচ অ্যাইকম্যান।
অ্যাইকম্যান বলেন, ‘আমরা গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের বাস্তববাদী চিন্তা করতে হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ভালো খেলার আর ওপরওয়ালা সহায় থাকলে হারানোরও চেষ্টা করবো, যেন তারা আমাদের নিয়ে হেলাফেলা না করতে পারে।’
ফেডারেশনের আর্থিক সমস্যা থাকলেও প্রস্তুতি নিয়ে ছাড় দিতে নারাজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান। বড় পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তিনি।
রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ট্যুর আছে। আমরা একটা সাত দিনের ট্যুর প্ল্যান করছি। যেখানে আমরা কমপক্ষে চারটা ম্যাচ খেলবো এবং ইউরোপের হল্যান্ড ও জার্মানিতে ট্যুর প্ল্যান করা হচ্ছে।’
হকির ইতিহাসে বাংলাদেশের অর্জন যত কমই হোক না কেন, এ দলটি যেন এক নতুন অধ্যায়ের শুরু। অ্যাইকম্যানের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের অদম্য প্রাণশক্তি, এবার নভেম্বরে তামিলনাডুর বিশ্বকাপ মঞ্চে নতুন করে চেনাবে বাংলাদেশকে।