১৪ আগস্ট বনানীর ৩৬০ সিসা লাউঞ্জে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় রাহাত হোসেন রাব্বীকে। হত্যায় সরাসরি অংশ নেন হামজা ও মুন্না নামের দুই ব্যক্তি। গতকাল শুক্রবার তাদেরকে কুমিল্লার বরুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সুইচগিয়ার চাকু উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব বলছে, হত্যার সময় মুন্না ছুরিকাঘাত করেন। হামজা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। হত্যায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উত্তরার সিসা লাউঞ্জে খুনের ঘটনা ঘটে। হত্যার উদ্দেশেই হামলা না কি অন্য কোনো কারণ আছে তা চলমান তদন্ত শেষে বের হয়ে আসবে।’
এদিকে দেশে সিসা লাউঞ্জ অবৈধ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রাতভর মাদক নির্ভর এসব ব্যবসা চলে তা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে বলেও জানায় র্যাব।
কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘সিসা লাউঞ্জের মালিক ইব্রাহিম খলিলও মামলার আসামি।’
এ নিয়ে অন্যান্যদের সাথে বনানীর ৩৬০ ডিগ্রী লাউঞ্জের মালিক ইব্রাহীম খলিলকেও আসামি করা হয়েছে। ইব্রাহিম খলিল ও শুভ নামের একজন পলাতক রয়েছে এখনও।