আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কার আনকোরেজে এলমেনডর্ফ বিমান বাহিনীর ঘাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক। এ বৈঠকে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ ছাড়া যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক হবে একান্তে। এরইমধ্যে আসন্ন বৈঠক নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছেন রুশ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক ঘিরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এরইমধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মায়ার্জের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে বার্লিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। ন্যাটোর মহাসচিব ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে একান্তে আলোচনায় বসবেন জেলেনস্কি ও মায়ার্জ। যেখানে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক ঘিরে ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে কথা বলবেন দুই নেতা।
এদিকে, ইউরোপীয় নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ইউক্রেনকে স্বাধীনভাবে তার নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ দিতে হবে। হাঙ্গেরি ছাড়া ইউরোপের বাকি দেশগুলোর আশা, ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা করেই কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান আসবে। কিয়েভের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো চুক্তি ইউরোপ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ইইউ মুখপাত্র।
আরও পড়ুন:
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনায় পুতিনের সাথে একান্তে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প রাশিয়া সফরেও যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট।
আসন্ন বৈঠক নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেআরটি জানায়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। ভবিষ্যতে রাশিয়াকে সহযোগিতা জোরদারের কথা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
ট্রাম্প তার স্বার্থ রক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অগ্রসর হবেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্প ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর জোর দিলেও পুতিনের নজর থাকবে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের ওপর।
যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেও দুই পক্ষই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের দাবি বেশিরভাগ আক্রমণ তারা প্রতিহত করেছে।