রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে জড়ো হয়েছেন বিশ্ব মোড়লরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইইউ সাত দেশের নেতারা। ট্রাম্প- জেলেনস্কির গত ফেব্রুয়ারির বৈঠক ব্যর্থ হলেও এবারে বৈঠক বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মত ইউরোপীয় নেতাদের।
ট্রাম্প-জেলেনস্কির এ বৈঠককে গঠনমূলক বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। বৈঠক থেকে ইতিবাচক দুটি ফল এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রথমত ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইস্যুতে ৩০টি দেশ এক হয়ে কাজ করছে। দ্বিতীয়ত পুতিনের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার পথ এগিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘বৈঠক গঠনমূলক হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের বোঝাপড়া ভালো ছিলো। অনেক বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবো।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট জানান, ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ চালু রেখেছে।
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট বলেন, ‘ইউক্রেনকে প্রচুর অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে খুশির খবর হলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটোর ইউরোপীয় নেতাদের আলোচনা করে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।’
আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসবেন। ট্রাম্প-পুতিনে ফোনালাপের পর এ কথা জানান জার্মান চ্যান্সেলর।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের হতে পারে। যদিও কোথায় এ বৈঠক হবে তা জানায়নি।’
তবে কোনো কারণে যদি শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটেন পুতিন তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি ফরাসি প্রেসিডেন্টের।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ‘ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে ট্রাম্প সফল হবে বলে বিশ্বাস তার। একইসঙ্গে পুতিনও শান্তিচুক্তি চান বলে ট্রাম্পের বিশ্বাস। বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে পুতিন যদি কোন কারণে শান্তিচুক্তির পথে না হাটে তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়বে।