আহতরা হলেন জুনায়েদ (২৮) ও কাওসার (৩০)। তাদের মধ্যে জুনায়েদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আহত জুনায়েদের পিতা ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার আরমান ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন ওয়াজিদ (৩০), সবুজ (৩০), নাজমুল (৩১), মতিন তালুকদার (৫০), শুভ (৩০)। এদের মধ্যে শুভ ও সবুজ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং মতিন তালুকদার যুবলীগের ক্যাডার।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত আসামিদের সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝামেলা ছিল। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে জুনায়েদের উপর উল্লেখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাত আরও ৬ থেকে ৭ জন হামলা করেন। হামলার একপর্যায়ে ‘সুইচ গিয়ার’ (ছুরি) দিয়ে জুনায়েদের কোমরে আঘাত করে। এসময় পিতা-পুত্রের চিৎকারে তাদের রক্ষা করতে সাইফুলের ভাগিনা কাওসার এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, আহত দুইজন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত জুনায়েদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আসামিরা প্রভাবশালী এবং যেকোনো সময় তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আরমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’