প্রতিবেদনে জানানো হয়, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে কিছু বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও, কার্যকর জবাবদিহির ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা ও সক্ষমতার ঘাটতি দেখা গেছে।
টিআইবির ফেলো শাহজাদা এম আকরাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী ও হত্যার নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১ হাজার ৬০২টি মামলার মধ্যে ৬৩৮টি হত্যা মামলা। পতিত সরকারের আনুমানিক ৮৭ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ মামলার তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। ৬০-৭০টি হত্যা মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে।’
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমও গত এক বছরে শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযোগ এসেছে ৪২৯টি, মামলা দায়ের হয়েছে ২৭টি। অভিযুক্তদের তালিকায় শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জন রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশোধিত আইন কার্যকর হওয়ার আগেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে বিচারকাজে ধীরগতি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
শাহজাদা এম আকরাম বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দায়ের হওয়া প্রায় সব হয়রানিমূলক মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ফেলো মো. জুলকারনাইন, ফারহানা রহমানসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।