১৮৬৫ সালে ইংল্যান্ডে নির্মিত হয় প্রথম স্কোয়াশ কোর্ট। এখন বিশ্বের ১৮৫ দেশে প্রায় ৫০ হাজার কোর্ট রয়েছে। বাংলাদেশেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শুরু হয় স্কোয়াশের চল। ঢাকা ক্লাব দিয়ে শুরু হয় স্কোয়াশের যাত্রা।
অনেকটা শখের বশেই খেলতো তখনকার খেলোয়াড়রা। বনানীতে ২২ নম্বর রোডে রাজউক থেকে স্কোয়াশের জন্য জায়গা বরাদ্দ থাকলেও চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কারণে কোর্ট নির্মিত হয়নি। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্কোয়াশ কমপ্লেক্স এখন ব্যক্তিগত মালিকানার দখলে।
স্কোয়াশ ফেডারেশন বর্তমানে ক্লাসরুম প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় এখন পর্যন্ত বেরিয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আর ১৫ জন মেয়ে আছেন বৃত্তির আওতায়।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অরসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমবার আমাদের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এশিয়ান গেমসে খেলবে। এ গেমে সুযোগ-সুবিধা কম।’
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড স্কোয়াশ ফেডারেশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতায় চলছে স্কোয়াশ ফেডারেশন। তবে আর্মড ফোর্স বাহিনীর স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আছে বিশেষ পরিকল্পনা।
জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এলিমেন্টারি একটা সার্কিটে টুর্নামেন্ট হয়, ফিমেল লিগ নামে লেডিস টুর্নামেন্ট হয়, ইউনিভার্সিটি লিগ হয়। এরকম আরও চার-পাঁচটি টুর্নামেন্ট হয়। তবে এখন আমাদের মেইন ফোকাস এসএ গেমসকে ঘিরে।’
প্রতি বছর ৪টি জাতীয় ও ১টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ফেডারেশন। পর্যাপ্ত অনুশীলন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে নেই উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন। আপাতত ফেডারেশনের লক্ষ্য জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমস।