জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে আহত ওসমান হাদির সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কোনো চিকিৎসক যাচ্ছেন না। তার সঙ্গে থাকবেন দুই ভাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জন ডাক্তার আবদুল আহাদ হাদির স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘হাদির সর্বশেষ ব্লাড প্রেশার ছিলো ১০০/৬০। তার চিকিৎসা দেশেই হতে পারতো। তবে অপারেশন থিয়েটারে ইনফেকশনের হার দেশে বেশি হওয়ায় বিদেশে নেয়া হলো। ওসমান হাদি এখনো জিসিএস-৩ লেভেলেই আছেন। তবে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার মতো পরিস্থিতি ছিলো।’
আরও পড়ুন:
ডাক্তার আবদুল আহাদ আরও জানান, গতরাতে হাদির ব্রেইনে অক্সিজেন স্বল্পতা যা ছিলো, এখনো তাই আছে। বাংলাদেশ থেকে কোনো চিকিৎসক হাদির সাথে যায়নি। সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকই সঙ্গে যাচ্ছেন।
এর আগে, গতকাল (রোববার, ১৪ ডিসেম্বর) ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ঘোষণা দেয় অর্ন্তবর্তী সরকার। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় সরকার বহন করবে বলেও জানানো হয় ড. ইউনূসের প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতিতে।
হাদির চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে আজও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রয়োজন অনুযায়ী যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হাদির ব্যাপারে কালকে আমাদের যখন ম্যাসেজ দিলো তখন আমরা বলেছি, টাকা পয়সা কোনো ব্যাপার না, আমরা দেবো।’
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে রাজধানীর বিজয়নগরে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে বক্স কালভার্ট এলাকার সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।




